ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক অব্যাহত। কেউ কেউ বলছেন, এর আগে ২০০২ সালে ভোটার তালিকার (Voter List) এই সংশোধনের কাজ করেছিল কমিশন। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিগত কয়েকমাস ধরে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে একটি আরটিআই-তে (RTI) দেখা গিয়েছে, ২০০২ সালে কোনও এসআইআর হয়নি। সেই সময় যেটি হয়েছিল, তা ছিল স্পেশ্যাল রিভিশন অফ ইনটেনসিভ নেচার (Special Revision of Intensive Nature) বা এসআর (SR)।
আরও পড়ুন: সুখবর দেশবাসীর জন্য! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ RBI
২০০২ সালের SR প্রক্রিয়া কতদিন চলেছিল?
আরটিআই থেকে পাওয়া নথি অনুযায়ী, ২০০২-এ এসআর প্রক্রিয়া চলেছিল ২০০১-এর অগাস্ট থেকে ২০০২-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সময় রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে কোনও এনুমারেশন ফর্ম নয়, দেওয়া হয়েছিল আলাদা আলাদা কোড নম্বর, যা দিয়ে ভোটার তালিকার কাজ পরিচালিত হত।
২০২২ সালের SR–এও কি BLO–রা এই কাজ করতেন?
২০০২ সালের ভোটার তালিকা সংশোধনে বিএলও নয়, কাজ করতেন এনুমারেটররা। তখন তালিকায় থাকা ভোটারদের থেকে কোনও নথি বা প্রমাণপত্র চাওয়া হত না। শুধু মৃত অথবা অন্যত্র স্থানান্তরিত ভোটারদের নামই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হত। এদিকে ভোটারের নাম, ঠিকানা বা ব্যক্তিগত তথ্য নথিভুক্তির কাজ করতেন এনুমারেটররা। ভোটারদের বাড়ি বদল বা মৃত ভোটারের তথ্য যাচাই করে সংশোধনের দায়িত্বও ছিল তাঁদের উপর।
২০০২ সালের SR-এর EPIC ছিল প্রধান নথি
তখন EPIC কার্ডকে গুরুত্বপূর্ণ দলিল নথি ধরা হত। কারও বৈধ EPIC থাকা সত্ত্বেও যদি কোনও কারণে নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ত, তাহলে অন্য কোনও নথি ছাড়াই ভোটার তালিকায় তাঁর নাম পুনরায় নথিভুক্ত করা হত।
২০০২ সালের SR–এ নতুন ভোটারদের জন্য বিশেষ ক্যাম্প
সেই সময় বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যেখানে নতুন করে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নাগরিকরা সহজেই নিজেদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন। আসলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াটি বর্তমান SIR পদ্ধতির তুলনায় ছিল অনেক সরল এবং কম নথিপত্রনির্ভর।
দেখুন আরও খবর:







